নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় ৩ সহোদরসহ বিএনপির চারজন গুরুত্বর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্র দিয়ে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাদেরকে আহত করা হয়েছে। হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডার বলে জানান বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা।
এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনার দিন রাতেই স্থানীয়রা দুই জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। রবিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী।
এর আগে, শনিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত ১০টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় নামক স্থানে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই তিন সহোদর বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
আহত ৩ সহোদর হলেন, ইয়াদ আলীর মোড় এলাকার আফজাল হোনেসের ছেলে আব্দুল মজিদ (৬০) এবং অপর দুই ছেলে কাবিল হোসেন (৫২) ও শফিকুল ইসলাম (৪৫)। এছাড়া আহত অপরজনের নাম জানা যায়নি।
ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করলে স্থানীয় ও বিএনপির নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, রাত ১০ টার দিকে তার তিন ভাই আব্দুল মজিদ, কাবিল হোসেন ও শফিকুল দোকান বন্ধ করছিলো। এসময় হঠাৎ মোটর সাইকেলযোগে এসে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি চালায় ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল ও হামলায় ব্যবহৃত ওয়ান শুটার গান ফেলে রেখে যায়।
বোয়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মাহবুব হাসান জানান, সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডার মোহাম্মদ আলী তার দুই সহযোগীকে নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। এতে ইউনিয়ন বিএনপির তিন ভাইসহ চারজন আহত হয়েছে।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, আমাদের ইউনিয়নি বিএনপির চারজনকে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করা হযেছে। ঘটনায় জড়িত আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী আলীসহ অন্যান্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠিন শাস্তি দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে। তবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মিঠুন ও আরিফ নামের দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনার আপডেট সম্পর্কে জানতে চাইলে নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতব উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওই দিন রাতেই হামলার ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আর ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া (একটি অস্ত্র) ওয়ান শুটার গান ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া জড়িত অন্যান্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত আছে।